নাটোরের লালপুরের স্যালাইনের মধ্যে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় স্ত্রী স্মৃতি খাতুনকে শ্বাষরোধ করে হত্যার পর মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া স্বামী আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্য রাতে লালপুরের পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের ভাদুর বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত স্মৃতি খাতুন লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া গ্রামের তসলিম আলীর মেয়ে ও আব্দুল জব্বারের স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত আব্দুল জব্বার একই এলাকার ইসহাক প্রামানিকের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের,অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) মীর আসাদুজ্জামান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, পারিবারিক কলোহের জের ধরে গত ১৬ জুলাই মধ্যে রাতে স্ত্রী স্মৃতি খাতুনের শরীর খারাপ হলে স্যালাইনের পানির মধ্যে ১০টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায় স্বামী আব্দুল জব্বার। এরপর স্ত্রী অচেতন হয়ে পড়লে আব্দুল জব্বার স্ত্রীর বুকের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে রাতেই বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে পুকুরের মধ্যে স্মৃতি খাতুনের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা তসলিম আলী স্মৃতির স্বামী আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করে। তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আসামী আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আব্দুল জব্বারকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং আদালত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী রেকর্ড করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।