ডেস্ক নিউজ
প্রায় আট ইঞ্চি জায়গা ভেঙে গিয়েছিল জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রেললাইনের। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে সেখান দিয়েই যাচ্ছিল আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
স্থানীয় এক যুবক সে সময় লাল গামছা দেখালে ট্রেনটি থেমে যায়। পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের ওই যুবক শফিকুল ইসলামের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।
পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাইনের ভাঙা অংশটি মেরামত করা হলে ট্রেনটি দুই ঘন্টা পর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
পাঁচবিবি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে পাচঁবিবি ষ্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি তখন ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাচ্ছিল।
এতে দুই ঘন্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল এবং ভাঙা লাইন মেরামতের পর সকাল ১০টার দিকে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয় বলেও জানান তিনি।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের চালক শাহ আলম বলেন, ‘ট্রেনটি ৮০ কিলোমিটার গতিতে ছিল। ওই যুবককে লাল গামছা নাড়াতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমি ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেই।’
পরে, লাইনে প্রায় আট ইঞ্চির মতো ভাঙা দেখেতে পাই সেখানে নেমে। ভাঙা লাইনের উপর দিয়ে ট্রেন চালালে মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারত,’ বলে জানান তিনি।
ট্রেন রক্ষাকারী ওই যুবক শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি সকালে বাসার কাছে রেললাইনের আশপাশে হাঁটাহাটি করছিলেন। সে সময় তিনি রেললাইনের ভাঙা অংশটি দেখতে পান।
হঠাৎ ট্রেন আসতে দেখে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি বাসায় গিয়ে লাল গামছা এনে নাড়তে শুরু করেন। এতে ট্রেনের চালক লাইনের ভাঙা অংশের একটু আগে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হন।