নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালবাজার নাটোর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড। লাল বাজার নামটা শুনলেই মনে শান্তি চলে আসে। যে এলাকায় নেই কোন মারপিট,ছিনতাই,চাঁদাবাজী। এমনকি মহল্লার কারো মুখেই শোনা যায়না স্বাধীনতার পরে এতো বছরেও কোন হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটেছে। এলাকার সকলেই শান্তি প্রিয় মানুষ। নেই তেমন কোন মাদক সেবী। অল্প কিছু মাদক সেবী থাকলেও তারা কঠিন গোপনে মাদক সেবন করেন। এলাকায় বেকার মানুষের বসবাস না থাকায় সকলেরই নিজস্ব একটা সুনাম রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বরিবার সকালে লালবাজারের লালবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রাস্তার ধারে ড্রেনের মুখে পরে থাকতে দেখা গেছে বিপুল পরিমান ফেনাড্রিল নামক এক ধরনের ঔষধের (সিরাপের) খালি বোতল ও সিডিল নামক ট্যাবলেটের ব্যাবহৃত পাতা। যেগুলো বর্তমানে মাদক সেবীদের নতুন মাদক হিসেবে পরিচিত। এগুলো এভাবে প্রকাশ্যে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের মাঝে একটা চাপা আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি সকালে এগুলো দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন পাশের হোমিও চিকিৎসকের চেম্বার থেকে এখানে ফেলা হয়েছে। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন এগুলো সেই চিকিৎসকের চেম্বারের না। আশেপাশের কোন একটি বাড়ী থেকে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারীর দাবী এলাকাবাসীর।
এলাকার হোমিও চিকিৎসক অশোক কুমার মানিকের সাথে কথা বললে তিনিও জানান, এগুলো কে বা কারা এখানে ফেলে গেছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি সকালে তার চেম্বারে এসে এগুলো পড়ে থাকতে দেখেন। তবে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে এলাকায় এগুলো ফেলেছে কোন মাদক সেবী।
এগুলো যেখানে ফেলা হয়েছে সেখানকার বাড়ীর মালিক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বলাই চন্দ্র বাগচি সাথে কথা বললে তিনিও বলেন রাতের অন্ধকারে এগুলো কেউ ফেলে রেখে গেছে। সকালে এগুলো তাদের নজরে এসেছে। রাস্তার পাশে এগুলো পড়ে থাকতে দেখে তিনি নিজেও আতংকিত।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এমন কোন অভিযোগ তারা জানেন না। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও কোন মাদক সেবীকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। সে নিজ বাড়ীতে মাদক সেবন করুক আর রাস্তায় মাদক সেবন করুক। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সোচ্চার রয়েছে।