ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী দল নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল অবশ্যই দরকার, কারণ আমরা গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’ গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদে গৃহীত মুজিববর্ষের কার্যক্রম মুজিববর্ষ ওয়েবসাইট ২০২০-২০২১ এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অডিও ভাষণের ডিজিটাল সংকলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নেতৃত্বের অভাবে সংসদে বর্তমান বিরোধী দলগুলো জনগণের কাক্সিক্ষত আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এখন জনপ্রতিনিধিরা সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালীন তাঁর দিনগুলোর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধীদের কথা বলার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি, অন্তত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সমস্যা তৈরি করছি না।
করোনাভাইরাস ও ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে এবং ভ্যাকসিন আসার মধ্য দিয়ে দেশ আরও শক্তিশালীভাবে করোনা মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। জাতির পিতার অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি তারা স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলন থেকেও বঙ্গবন্ধুর নাম ও অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আসলে সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না, এটিই প্রমাণিত সত্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের অনেক সংরক্ষণাগার ধ্বংস করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ছোট্ট একটা জীবন তো, মাত্র ৫৪ বছরের জীবন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) যে অসাধ্য সাধন করে গেছেন, তা কল্পনাও করা যায় না। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা দেখি যে, এমন কোনো কাজ নেই যা উনি না করে গেছেন। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য যা যা করণীয়, সবই তো করে দিয়ে গেছেন। সবকিছুর ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তবে তিনি তা করতে পারেননি। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করা আমাদের দায়িত্ব এবং আমরা বাংলাদেশকে সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ কর্তৃক মুজিববর্ষের কার্যক্রম ও মুজিববর্ষ ওয়েবসাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করে গ্যালারি পরিদর্শন করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনি প্রমুখ।