ডেস্ক নিউজ
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ই-গেট চালু হয়েছে। ফলে ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া এখন থেকে ১৮ সেকেন্ডে শেষ হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে ই-গেট চালু করল। এর আগে সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে কিছু যাত্রীকে ই-গেটের মাধ্যমে সফলভাবে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, উদ্বোধনের ১১ মাস ৮ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ই-গেট দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত শুরু করেছেন। এত পরে কেন ই-গেট দিয়ে যাত্রী যাতায়াত শুরু হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, প্রযুক্তিগত সামান্য ত্রæটির কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ১৮ সেকেন্ডে এই ই- গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন শেষ করেছেন। শাহজালাল বিমানবন্দরের ডিপারচার এরিয়ায় ১২টি ও অ্যারাইভাল এরিয়াতে ৩টি ই-গেট চালু করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি ই-গেট চালুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্টধারীরা ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট দিয়ে যেতে পারেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ (ডিআইপি) সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল (এবিসি) ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মোট ৫০টি ইলেকট্রনিক গেট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন করেন। এর আগে, ২০১৬ সালে ২৪ এপ্রিল পাসপোর্টসেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কথা হয়। এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচর সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি একই বছর আগস্টে ৬টি দেশের ৫টি কোম্পানি পরিদর্শন করে। পরির্দশন শেষে ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০১৮ সালের ২১ জুন ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রকল্প অনুমোদন পায়। সেই বছরই ১৯ জুলাই জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ এর সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি হয়। এই সংস্থাটির মাধ্যমেই ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট স্থাপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।