ডেস্ক নিউজ
নির্ধারিত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, নতুন টার্মিনালটি চালু হলে বছরে দুই কোটির বেশি যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশ-বিদেশে চলাচল করতে পারবেন।
বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত পুরোনো সব অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে জোরেশোরে এগিয়ে চলছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ।
এরই মধ্যে এ প্রকল্পের প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে এ বিমানবন্দরকে। এ প্রকল্পে কাজ করছেন প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক।
তবে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজে ভাটা পড়েছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এর ধকল অনেকটাই কাটিয়ে উঠা গেছে। আক্রান্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এ টার্মিনালের পাশেই রয়েছে আইসোলেশন ও মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা। এতে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন কয়েকজন ডাক্তারসহ একদল স্বাস্থ্য কর্মী।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সমকালকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও দিকনির্দেশনায় শুরুর পর এগিয়ে চলেছে দেশের প্রধান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প। এখন এ টার্মিনালের তিনতলা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, স্ট্রাকচার দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর আউটসাইড মেটারিয়াল এবং অপারেশন ইকুইপমেন্টগুলো আসবে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ের সঙ্গে অনেকগুলো সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এটার সঙ্গে আছে ব্যাগেজ হ্যান্ডেল সিস্টেম, লিফট, ফায়ার সিস্টেম ও মুভিং ওয়ার্কার্স। সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে বিল্ডিং ডিজাইন।
ডিজাইন মোতাবেক ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কিনা, তা পরিবীক্ষণের জন্য প্রতিনিয়ত স্থপতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। টার্মিনালে ঢুকে যেন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে না হয়, সেজন্য এ টার্মিনালে থাকছে ১১৫টি চেকইন কাউন্টার। নতুন করে তৈরি হচ্ছে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকছে ৬৪টি।
বেবিচকের সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান জানান, নতুন এ টার্মিনাল নির্মাণের সমান্তরালভাবে আরও চারটি কাজ হচ্ছে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের চাপ কমাতে তৈরি হচ্ছে দুটি হাইস্পিড ট্যাপিওয়ে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য দুটি বিশাল ভবনের নির্মাণও এগিয়ে চলেছে। বছরে দুই কোটি যাত্রীসেবা দিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে তিনতলা ভবন।
তিনি বলেন, মেইন টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের কাজ হচ্ছে, অ্যাপ্রনের কাজ হচ্ছে। ট্যাক্সি ট্র্যাক, কার্গো টার্মিনাল এবং হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ সড়কের কাজও এগিয়ে চলেছে।