এই করোনাকালীন দুঃসময়ে রোগীদের ভুয়া চিকিৎসা দেয়া এবং করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলগালা করে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অনুমতি ছাড়াই করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করছে। এ সময় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাতকে আটক করেছে র্যাব। এরপর হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের মালিক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। রমনা-তেজগাঁ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
এর আগেও গুলশানের এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে অনুমতি না নিয়েই কোটি টাকার চিকিৎসা বাণিজ্য চালানোর। এবার হাসপাতালটিকে প্রথমে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হলেও পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করায় গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই অনুমতি স্থগিত করে। কিন্তু এরপরও হাসপাতালটি বাইরে থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে প্রতিবেদন দিচ্ছে। তিনি জানান, এভাবে বাইরে থেকে নমুনা পরীক্ষা করে এনে দেওয়াও বেআইনি।
করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় রিজেন্ট ও জেকেজি হেলথ কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে চলমান আইনি ব্যবস্থার মধ্যেই শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে অভিযান চালায় র্যাব। জেকেজি’র সাবরিনা-আরিফ, রিজেন্টের শাহেদের মতো শাহাবুদ্দিনও করোনা নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে, জালিয়াতি করেছে, বাটপারি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন, এই শাহাবুদ্দিনেরও বেগম জিয়াসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ছবি আছে। বিএনপি’র যারা শাহাবুদ্দিনের বিপক্ষে রাজনীতি করে, তারাও তার বিপক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে না। শাহাবুদ্দিন-নাম মিডিয়াতেও ওইভাবে দেখা যাচ্ছে না! আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো শাহাবুদ্দিন-খরা লেগেছে! অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, শাহাবুদ্দিন আমাদের নেতাকর্মীদেরও ভাসুর লাগে। তাই তার নাম মুখে নেয়া যাচ্ছে না!
উল্লেখ্য, এই শাহেদ-সাবরিনা-আরিফ বা শাহাবুদ্দিনদের বিরুদ্ধে আগে থেকে কোন গণমাধ্যম তাদের অপকর্ম নিয়ে কোন রিপোর্ট প্রকাশ করে নি! কোন সুশীলও তাদের সম্পর্কে আগাম কোন তথ্য-সংবলিত কলাম লেখেন নি! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোন সেলিব্রেটি তাদের অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে নি!