শিশু কিডনি রোগের সমন্বিত চিকিৎসাবিষয়ক ন্যাশনাল গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈনউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে সারাদেশের রোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ অন্য চিকিৎসকরাও শিশু কিডনি রোগের উন্নত ও যথাযথ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা পাবেন। মান বাড়বে চিকিৎসাসেবায়। তাই এখন আর শিশু কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশেই মিলবে উন্নত চিকিৎসা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের ডা. মিল্টন
হলে গতকাল ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর ম্যানেজমেন্ট অব পেডিয়াট্রিক কিডনি ডিজিজ’ শীর্ষক গাইডলাইনের উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই রোগের উপসর্গ যথাযথভাবে বলতে না পারায় শিশুদের চিকিৎসা দেওয়াটা একটু জটিল। তবু বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে সমন্বিত চিকিৎসাবিষয়ক ন্যাশনাল গাইডলাইন শিশু কিডনি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে। চিকিৎসকরা এটি অনুসরণ করলে অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা পাবে রোগী। প্রকৃতপক্ষে শিশু রোগীদের জন্য গাইডলাইনটি কল্যাণ বয়ে আনবে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ। অনলাইনে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এ সময় শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীসহ সারাদেশে চিকিৎকদের জন্য শিশু কিডনি রোগ ও চিকিৎসাবিষয়ক পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইগুলোর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রণজিত রঞ্জন রায়। বইগুলো হলো- ‘হ্যান্ডবুক অব পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি’, ‘শিশুর স্বাস্থ্যকথা’, ‘প্র্যাকটিক্যাল পেডিয়াট্রিক ক্লিনিক্যাল ম্যাথড’, ‘পেডিয়াট্রিক স্টুডেন্টস ম্যানুয়াল’ এবং ‘পেডিয়াট্রিক প্র্যাকটিশনার্স ম্যানুয়াল’।