ডেস্ক নিউজ
বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা সভা করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। আলোচনার বিষয় ‘দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভোলার ঘটনার দ্রুত বিচার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি।’ তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে অবাক হয়ে শুনলো, উল্লেখিত বিষয়ের বাইরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অবলীলায় বলে যাচ্ছেন বিএনপির ভিতরের নাজুক অবস্থা। দলের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সৌহার্দ্যের অভাব উল্লেখ করে নিজের মনের দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
দলের নেতাদের মধ্যে সহমর্মিতার অভাব আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তিন বার জেলে গিয়েছি। প্রত্যেকবার রাজপথ থেকে গিয়েছে, আমাকে বাসার থেকে ধরে নাই কখনো। দলের একটা লোক ফোন করে খবর নেয়নি। এবার একমাত্র রুহুল কবির রিজভী ফোন করে খবর নিয়েছিলো। আমার পরিবারের সে খবর নেয়ার চেষ্টা করেছে।’
দলের নেতাদের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘২৮ বছর এই দল করি। কোনো সহমর্মিতা নেই।’ দলের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলের কর্মীরা অনেক সাহসী, কিন্তু নেতারা দুর্বল। নেতাদের কেউ কেউ এত পয়সা বানিয়েছে যে, রাজপথে তাদের গায়ে রোদ লাগাতে ইচ্ছে করে না।’
কেন দলের এমন অবস্থা হল-প্রশ্ন রেখে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘কর্মীরা কত ত্যাগ স্বীকার করছে গ্রামে-গঞ্জে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের যারা দায়িত্বে আছে তারা নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।