ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা এতদিন তার নামে দেশে কোনো প্রতিষ্ঠানের নামকরণের অনুমতি দেননি। অবশেষে সেই অসাধ্য সাধন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি শেখ রেহানার নামে নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ করার অনুমোদন নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিকে ৫শ শয্যা করে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজে রূপ দেওয়া হবে। এই মেডিকেল কলেজের নাম হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার নামে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে কিছু হলে অনুমতি নিতে হয়। শেখ রেহানা অনুমতি দেন না বলে বাংলাদেশের কোথাও তার নামে কিছু করা হয়নি। উনি হিমালয় পবর্তের মতো শোক ও কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বসে আছেন। কোনো কিছু করার অনুমতি দেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তুমি শেখ রেহানার কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারলে আমি করে দেব’। কিছুক্ষণ আগে একটি বার্তা এসেছে, আলহামদুলিল্লাহ সেটিও হয়ে গেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরার বিদায় এবং নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌসের বরণ অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। এর আগে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করেন শামীম ওসমান এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি।
শামীম ওসমান বলেন, বছর দুয়েক আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলাম। উনি বলেছেন, ‘তুমি কী চাও? অনেক রাজনীতিবিদ অনেক কিছুই চায়’। আমি বলেছিলাম, ‘আমি কিছুই চাই না। আমি জনগণের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড চাই, বঙ্গবন্ধুর নামে নারায়ণগঞ্জে ইউনিভার্সিটি চাই, পঞ্চবটির ফ্লাইওভার চাই, ডিএনডি প্রকল্প চাই, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের উন্নয়ন চাই, মেডিকেল কলেজ-ইউনিভার্সিটি চাই’। আলহামদুলিল্লাহ, আমার সব প্রকল্পের কাজই চলছে। শুধু একটি বাকি ছিল, সেটি হলো মেডিকেল কলেজ। আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল এটি শেখ রেহানার নামে নামকরণ করা হোক। আল্লাহর রহমতে সেই অনুমতিও পেয়ে গেলাম।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ফতুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন খন্দকার, বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজর আলী উপস্থিত ছিলেন।