নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম একজন নারীকে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে অগ্রগামী করেছেন। কারণ নারীদের সমান অংশগ্রহন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেতে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে অগ্রগামী শেখ হাসিনার সরকার সে সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সিংড়া উপজেলা ও পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীর ক্ষমতায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করে জাতীয় সংসদে নারী আসন সংরক্ষণ করেন। বঙ্গবন্ধু ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন। তিনি স্বাধীনতার পরে প্রথম বিচার বিভাগে নারীদের নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের ৬০ শতাংশ চাকুরীর সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন। যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে এইচ এস সি পাশ করে একজন মেয়ে খুব সহজেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে যৌতুকের ব্যাধি থেকে মেয়েরা রক্ষা পেয়েছেন। তাঁর পরিবার এখন মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে সমাজে বাস করেন। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসীন হয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত বিচার বিভাগের একজন নারী বিচারপতিকে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ দেন। বর্তমান সরকার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার পাশাপশি মায়ের নাম সংযোজন করে দিয়েছেন। এভাবেই নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরীন রুখসানা। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সিংড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীমা হক রোজী সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সিংড়া উপজেলা এবং পৌরসভা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।