ডেস্ক নিউজ
কক্স আর্কিটেকচার ও পপুলাস আর্কিটেকচার নামে দুটি কোম্পানির মধ্য থেকে পপুলাসকে বাছাই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অস্ট্রেলিয়ান এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৪৮ মাসের চুক্তি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। যার মধ্যে ৩০ মাসে শেষ হবে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণ। বিশ্বের বড় বড় স্টেডিয়াম তৈরির সঙ্গে অলিম্পিক-ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের অভিজ্ঞতা আছে পপুলাসের।
পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কাজ শুরুর ৩০ মাসের ভেতরে শেষ হবে। পরবর্তী ১২ মাস স্টেডিয়ামটি বিসিবি নিজেদের আয়ত্তে রাখবে। এই সময় স্টেডিয়ামের ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করবে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পপুলাস আর্কিটেকচার। সেজন্য অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে মোট ৪৮ মাসের চুক্তি করেছে বিসিবি।
আজ (বুধবার) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিসিবি। পপুলাসের পক্ষে পরিচালক অ্যান্ড্রু জেমস এবং বিসিবির পক্ষে প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ৩৪৭ পাতার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। স্টেডিয়াম বানানোর জন্য স্থানীয় একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে পপুলাস।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান পপুলাসের ৩৪৭ পাতার চুক্তিপত্রে ৪৮ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। প্রথম ৬ মাস ডিজাইনের ওপর কাজ করবে তারা। পরের ৩০ মাসে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। শেষ ১২ মাস ছোটখাটো ভুলত্রুটিগুলো সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।’
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খসড়া ডিজাইনও দেখিয়েছে পপুলাস। যেখানে নৌকার আদলে নকশা প্রকাশিত হয়। তবে স্টেডিয়ামটি নির্মাণে কত বাজেট করা হয়েছে, তা জানায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ডিজাইন চূড়ান্ত হওয়ার পর বাজেট ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।