শেষ হলো রাজশাহী কবিকুঞ্জের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী কবিতা মেলা। শুক্রবার সকালে রাজশাহী শাহ মখদুম (রহ.) কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করেন কবি মাকিদ হায়দার। কবিতা মেলায় বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক কবি, লেখকরা অংশ নেয়।
প্রথম দিনে কবিকুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর কবি রুহুল আমিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কবিকুঞ্জ সারা বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের আয়োজন করে। যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের দিকপালদের সমাগত ঘটে। এ আয়োজনের জন্য কবিকুঞ্জকে ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে বারে বারে এ রকম অনুষ্ঠান রাজশাহীতে হবে-এটিই কামনা করেন মেয়র।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বলেন, আমাদের বাহ্যিক কাঠামো ঠিক হচ্ছে, তেমনি আমাদের অভ্যন্তরীণ কাঠামোরও সামগ্রিক উন্নয়ন প্রয়োজন আছে। পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমাকে পশ্চাতে টানিছে-এ কথাটি দেশের মানুষকে মনে রাখতে হবে। যতোই তুমি দেশের সাধারণ মানুষকে পেছনে ফেলে রাখবে, ততোই তোমার পেছন টান পড়বে, সামনে এগুতে পারবে না। পৃথিবীর বড় বড় দেশে এটি ঘটে না, দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো আমরা এ ধরনের সমাজ নির্মাণ করতে পারিনি।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহীর সভাপতি ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য কবি আসাদ মান্নান, কবি ও গবেষক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা প্রমুখ।
মেলার ২য় দিনে স্থানীয় চৈতির বাগানে গান আড্ডায় মেতে উঠেন কবি, লেখকরা। পরে সন্ধ্যায় কবিতায় কবি শিবলী মোকতাদির এবং ছোট কাগজে কবি মাহমুদ কামালকে কবিকুঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। নাটোর থেকে মেলায় অংশগ্রহন করেছিলেন কথা সাহিত্যক জাকির তালুকদার, কবি কামাল খাঁ, নাজমুল হাসান, সালেহীন বিপ্লব, ফারজানা কেয়া, আসাদুজ্জামান, রফিকুল কাদির।