ডেস্ক নিউজ
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিবসে নগরীতে আলোর মিছির বের করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর জয় বাংলা চত্বর থেকে মোমবাতি প্রজ্বলন করে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমারপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিন রাত ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার।
জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাঙালি জাতি এক হাজার বছর ধরে শাসিত-শোষিত হয়েছিল বারে বারে। ভীতু বাঙালি জাতিকে সাহসী জাতি হিসেবে গড়ে তোলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালিদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে সাহস দেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরি করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা অর্জন করি মহান স্বাধীনতা।
তিনি আরো বলেন, আর সকল রাষ্ট্রনায়কদের থেকে বঙ্গবন্ধু আলাদা। বঙ্গবন্ধুকে আলাদা মর্যাদায় সারাবিশ্বই দেখে। আমাদের আরো বেশি করে দেখা উচিত। যারা এখনো বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করে তারা কুলাঙ্গার, তারা জারজ সন্তান। তাদের সম্পর্কে ধিক্কার জানানো ছাড়া কিছু আর বলা যায় না।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবো না। এটা সম্ভবও না। আমরা তাঁকে স্মরণ করে, তাঁকে অন্তরে লালন ও ধারণ করে তাঁর চিন্তা-চেতনাকে বাস্তবায়ন করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেয়র বলেন, আমরা তাঁর সহযোগী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি যেভাবে বলছেন, আমরা সেভাবে চলছি। তিনি বলছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে, আমরা রাস্তার লাইট কমিয়ে দিলাম। তিনি বলছেন, জ্বালানী খরচ কম করতে হবে, এসি কম চালাতে হবে। আমরা তাই করছি। তিনি যেভাবে চাচ্ছেন আমরা সেভাবে চলবো। কারণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের ও আদর্শের ধারক-বাহক হচ্ছেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বা নেপথ্যে কারা কারা ছিল কমিশন গঠন করে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, বদরুজ্জামান খায়ের, সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -এর চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য জাহির উদ্দিন তেতু, হাবিবুর রহমান বাবু, আশরাফ উদ্দিন খান, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, মজিবুর রহমান, আলিমুল হাসান সজল, মোখলেশুর রহমান কচি, কে এম জুয়েল জামান, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু প্রমুখ।