ডেস্ক নিউজ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফর শুরু হচ্ছে। গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার বাইডেনের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত সংবর্ধনা এবং ইউএনজিএর ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। এদিন তাঁর ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডির এবং স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পহরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথা। তিনি ইউএনজিএর নারী নেতাদের প্ল্যাটফরমে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে অংশ নিতে সোমবার রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মাদ আবদুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক রিপাবলিক ও ইউএন হাবিট্যাট যৌথভাবে আয়োজিত টেকসই হাউজিং বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন শেখ হাসিনা। একই দিন তিনি ডব্লিউইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়ন মিটিংয়ে যোগ দেবেন। এদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দফতরে পদ্মা সেতুর প্রদর্শনী পরিদর্শনের পর কসোভো প্রেসিডেন্ট ড. ভিয়োসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেনদোজার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সকালের নাস্তার মধ্যে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যন্স (এএমআর) বিষয়ে বৈঠকের পর আইওএম-এর মহাপরিচালক অ্যান্টোনিও ভিটোরিনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। পরে তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সমডেক আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন ও আইসিসি প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের জেনারেল ডিবেটে ভাষণ দেবেন। আগের ১৭ বারের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ উপস্থাপন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সফরের শেষ দিন ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ম্যানহাটানে লটে হোটেল থেকে এই ভাষণ প্রদানের পর তাঁর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা।
বাংলাদেশ বিশ্ব নাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তুলবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের চতুর্থ শিল্পবিপবের জন্য উপযুক্ত করে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিশুদের সত্যিকারের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করছি।
সোমবার (নিউইয়র্ক স্থানীয় সময়) জাতিসংঘ মহাসচিবের ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিটে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে জাতীয় বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রম আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপবের জন্য প্রস্তুত করবে। তিনি আরও বলেন, এ প্রয়াস তাদের জলবায়ুসহনশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতন করবে এবং দেশকে একটি উন্নত, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত করতে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকারের এজেন্ট হিসেবে গড়ে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা গবেষণা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষার জন্য আমাদের লক্ষ্য হলো আরও ভালো সংযোগ শিল্প স্থাপন করা। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের এমন দক্ষতা থাকা উচিত যা তারা বিশ্বের যে-কোনো স্থানে ব্যবহার করতে পারে।