সরকার আলুর দাম বাড়ালেও আগের ঘোষিত দামেই বিক্রির কথা জানানো হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। সিটিবির নিত্যপণ্যের ট্রাক থেকে একজন কিনতে পারবেন সর্বোচ্চ দুই কেজি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দুই দিনের মধ্যে বুধবার থেকেই আলু বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি।
সরকার আলুর দাম বাড়ালেও আগের ঘোষিত ২৫ টাকা করেই আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার আবদুল লতিফ বকসী এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানান।
এর আগে টিসিবি কখনো আলু বিক্রি করেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্রাকে করে বিক্রি হবে রান্নার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি।
কয়টি ট্রাকে কী পরিমাণ আলু বিক্রি হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি আবদুল লতিফ বকসী।
নিউজবাংলাকে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাকের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। আগে যেখানে পেঁয়াজ, তেল বিক্রি করা হতো, সেখানে শুধু আলু যোগ করা হয়েছে।’
কী পরিমাণ আলু কেনা হয়েছে-এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটাও সুনির্দিষ্ট নয়। বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা থাকবে ততদিন হিমাগার থেকে আলু কিনে বিক্রি করা হবে।’
আলুর দাম বেড়ে যাওয়ার পর সরকার দাম বেঁধে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর সরকার খোলাবাজারে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ৩০ টাকা বেঁধে দিলেও মঙ্গলবার দাম পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পাইকারিতেও পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। একইভাবে হিমাগারের দাম ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৭ টাকা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর হিমাগারে দাম বাড়ানোয় ২৫ টাকায় বেচলে সরকারকে প্রতি কেজি আলুতে চার টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে পরিবহন খরচ ও ডিলারদের কমিশন।
আবদুল লতিফ বকসী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারকে কিছু ভর্তুকি দিতে হবে।’
তবে ভোক্তারা যত খুশি আলু কিনতে পারবেন না। একজনের কাছে সর্বোচ্চ দুই কেজি আলু বিক্রি করা হবে।
আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি, মশুর ডাল নির্ধারিত সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রির ঘোষণা দেন।