প্রাণঘাতী করোনা আঘাত হানার আগেই শুরু হয়েছিল সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির (এনএপিডি) ছয় মাসব্যাপী ডিপ্লোমা ডিগ্রীর পাঠদান কার্যক্রম। সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শুরু করেছিলেন প্রকাশ্য শ্রেণী শিক্ষাগ্রহণ কার্যক্রম। কিন্তু এরই মধ্যে করোনার ধাক্কায় বিচলিত সবাই। তাই বলে হাল ছাড়েননি কর্মকর্তারা। প্রস্তুতি নিয়ে প্রায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই ক্লাস শুরু হয় অনলাইন প্লাটফর্মে। এমনকি গবেষণা রিপোর্ট উপস্থাপনেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি প্রাণঘাতী করোনা। শেষ পর্যন্ত সফলতার সঙ্গেই শেষ হলো ডিপ্লোমা। তবে একটি বা দুটি নয়, এই মুহূর্তে অন্তত ১৩টি ‘প্রোগ্রাম’ অনলাইনে সফলভাবে সচল রাখা এ প্রতিষ্ঠান আগামী তিন মাসে পরিচালনা করবে ৩০টি কার্যক্রম।
তবে এনএপিডির মতো শতভাগ সফল না হলেও সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে এখন বহু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিকভাবেই সচল রেখেছে। বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রীতিমতো শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস সচল রেখেছে পুরোদমে। পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়লেও শ্রেণী শিক্ষা কার্যক্রম অনেক প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে স্বাভাবিকের মতো। শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষের কাছে এখন জনপ্রিয় শব্দ হয়ে উঠেছে ‘ওয়েবিনার’ ‘জুম, গুগল মিট, মাইক্রোসফট টিম, গুগল ক্লাসরুম, সিসকোর ওয়েবেক্স, মেসেঞ্জার রুম, জিটসির মতো ভার্চুয়াল প্লাটফর্মগুলো। জীবধারাকে সচল রাখার বাস্তবতায় পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অপরিচিত থাকা এমন বহু শব্দ। ছোট্ট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই কাছেই দৃশ্যমান এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য প্রযুক্তির এসব বিষয়ে সুফলও পাচ্ছেন প্রতিটি মানুষ। তবে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হেঁটে চলেছি এটা তারই একটি সফলতার দিক। এ কথা নির্দিধায় বলা যায় ডিজিটাল বাংলাদেশে পথে অনেক দূর এগিয়েছি বলেই আজ তথ্য প্রযুক্তিসহ বহু দুর্বোধ্য জটিল বিষয় ও তার প্রয়োগ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছেও সহজ হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা একই সঙ্গে বলেছেন, করোনা বিপর্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুফল হাতেনাতে পাচ্ছে দেশের জনগণ। এই দুর্যোগে যখন তছনছ প্রায় সব খাত। যখন বিপর্যন্ত স্বাস্থ্য খাত, স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, তখন বাঁচার পথ দেখাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি খাত। অসাধারণ ভূমিকা রাখছে আইসিটি খাত। অনলাইনেই চলছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড-১৯ মহামরীর প্রাদুর্ভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক পরিবর্তন ত্বরান্বিত করছে। কোভিড-১৯ মহামারীকালে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৫০ শতাংশ, ই-কমার্সে কেনাকাটা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। দুর্যোগ, মহামারীকালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেই অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখার এটি একটি প্রকৃষ্টতম উদাহরণ। রোবট, মেশিন লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডাটা এ্যানালাইটিক্সের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিই হবে আগামী দিনের অর্থনীতিসহ জীবন-যাত্রার চালিকা শক্তি এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনলাইনে ক্লাস নেয়ার বা ক্লাসে অংশ নেয়ার জন্য কয়েকটি মাধ্যম এখন প্রায় সমান জনপ্রিয়। শিক্ষায় আলোচিত প্লাটফর্ম ‘কোর্সেরা’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত কোটি শিক্ষার্থী-শিক্ষক এক হওয়ার সুযোগ পান কোর্সেরা প্লাটফর্মে। কোর্স ফি দিয়ে যে কেউ বিভিন্ন বিষয়ের নামী অধ্যাপকদের কোর্সে অংশ নিতে পারছেন, কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর এই সময়ে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ৪০০ বিষয়ে তিন হাজার ৮০০টি কোর্স বিনামূল্যে দিচ্ছে কোর্সেরা। আরেক ব্যবহৃত প্লাটফর্ম ‘জুম’। অধিকাংশ সময় অফিসের কাজে ব্যবহৃত হলেও চাইলে জুমকে বানিয়ে নেয়া যাচ্ছে ক্লাসরুম। বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও সামান্য কিছু টাকা খরচ করলে আরও আধুনিক সেবা দিতে পারে সফটওয়্যারটি। ১০০ জন একই সঙ্গে একই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারছেন।
এই প্লাটফর্মেই সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ‘ডিপ্লোমা ইন প্রোজেক্ট প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে ডিগ্রী প্রদান কার্যক্রম শেষ করেছে কোন ধরনের সঙ্কট ছাড়াই। ০১২ ব্যাচের এ ডিপ্লোমা ডিগ্রী কার্যক্রম করোনা তেমন কোন সঙ্কট তৈরি করতে পারেনি। অনলাইনে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম শেষ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মোঃ নুরুজ্জামান।
তিনি জনকণ্ঠকে বলছিলেন, আসলে সবার ইতিবাচক অবস্থানের কারণেই আমরা এমন সঙ্কটেও সব কাজ ভালভাবে করতে পেরেছি। যখন সব অফিস ছিল বন্ধ তখন আমরা অনলাইন শতভাগ সফলতার সঙ্গে ক্লাস সচল রাখতে পেরেছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সব ডিগ্রী প্রার্থীর একান্ত চাওয়া ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এ কর্মকর্তা জানান, এই মুহূর্তে অন্তত ১৩টি ‘প্রোগ্রাম’ অনলাইনে সফলভাবে চলছে। আগামী তিন মাসে পরিচালনা করা হবে ৩০টি প্রোগ্রাম। আমরাই এক্ষেত্রে বলতে পাইওনিয়ার। আমাদের দেখানো পথ ধরেই পরবর্তীতে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শুরু করেছে।
অনলাইনে সফলভাবে কোর্স শেষ করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করলেন শিক্ষার্থী ঝুংকু মনি চাকমা, যিনি গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি (ডুয়েট) প্রকিউরমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলছিলেন, সত্য বলতে কি এনএপিডির ব্যবস্থাপনা খুব ভাল ছিল। তাদের ইচ্ছা ও প্রস্তুতির কারণে অনলাইনের সীমাবদ্ধতাও দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ফলে অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান যেখানে সব বন্ধ করে দিয়ে বসেছিল সেখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কোর্সটি ভালভাবেই শেষ করতে পেরেছি। করোনার ধাক্কা সেভাবে লাগেনি। ডিজিটালাইজেশনের এটি একটি অন্যতম সুফল আমরা পেলাম এ কথা নির্দিধায় বলতে পারি।
‘গুগল মিট’ এই মুহূর্তে কোটি কোটি শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত শব্দ। এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। বেশি সংখ্য শিক্ষার্থীকে এক সঙ্গে যুক্ত করার সুযোগের কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। দেশের প্রথম জিডিটাল ইউনিভার্সিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ গুগল মিট প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে সবার আগেই অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় সফলতা পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলছিলেন, আপনি যদি সব সময় প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডের সেবা নিয়ে আসক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য ভিডিও কলিংয়ের সেরা অপশন হলো গুগল মিট। এটি মূলত গুগল হ্যাংআউটের উন্নত সংস্করণ। এতদিন পর্যন্ত গুগল মিটের সেবা টাকা দিয়ে কিনতে হতো। কিন্তু ভিডিও কলের প্রচুর চাহিদার কথা খেয়াল করে গুগল সেবাটি ফ্রি করে দিয়েছে। গুগল মিটে সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তিকে যোগ করে ভিডিও কল করা যায়।
শ্রেণী কক্ষের সব কাজ সম্ভব হচ্ছে এখন ‘গুগল ক্লাস রুমে’। কাগজের ব্যবহার উঠিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সার্চ জায়ান্ট গুগল গত বছর চালু করেছিল ‘গুগল ক্লাস রুম’ নামের একটি এ্যাপ। করোনাকালে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। বাংলাদেশেও শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের কাছে হয়ে উঠেছে জনপ্রিয়।
গত ১ এপ্রিল থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হয় ঢাকা কলেজে, যা করোনা পরিস্থিতিতে দেশে প্রথম। এ ক্ষেত্রে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা। ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা কলেজের প্রথম অনলাইন পরীক্ষা। একাদশ শ্রেণীর ওই পরীক্ষায় কলেজের এক হাজার ১৫৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন অসুস্থতাজনিত কারণে অংশ নিতে পারেননি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়কে কলেজ প্রশাসনের সফলতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা।
অধ্যক্ষ বলছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় তখন আমরা এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস চালু করি। উদ্দেশ্য ছিল, সারাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে উপকৃত হয়। উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। ঢাকা কলেজে এইচএসসিতে এক হাজার ১৫৪ শিক্ষার্থী থাকলেও অনলাইন ক্লাস দেখছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। এতেই প্রমাণিত হয় যে, ঢাকা কলেজের অনলাইন ক্লাসে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত অনলাইনে এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে নিতে আসতে সক্ষম হয়েছে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম। প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি বেনজীর আহমেদ বলছিলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে এখন ৯০ শতাংশের ওপর শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত করতে সক্ষম হয়েছি। যা স্বাভাবিক শিক্ষাদানের সময়ের থেকেও বেশি।
করোনা বিপর্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুফল হাতেনাতে পাচ্ছে দেশের জনগণ-এমনটাই মত পিএসসির সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খানের। তিনি বলছিলেন, তথ্য প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছে প্রতিটি মানুষ। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হেঁটে চলেছি এটা তারই একটি দিক। এই দুর্যোগে বিশ্বের অন্য দেশের মতো যখন তছনছ প্রায় সব খাত। তখন বাঁচার পথ দেখাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি খাত। ভাল ভূমিকা রাখছে আইসিটি খাত।
এদিকে ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষা পৌঁছাতে পারছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, বাকি শিক্ষার্থীদের কাছেও অনলাইনে শিক্ষা পৌঁছে দিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরিপ করে দেখেছি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষা পৌঁছাতে পারছি। বাকি শিক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল শিক্ষা পৌঁছাতে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষকদের অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের যাতে শিক্ষা জীবনে ব্যাহত না হয়, তারা যেন ঝরে না পড়ে সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দীপু মনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে যত অর্জন, যতটুকু আমরা এগিয়ে এসেছি পুরোটাই করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও এই রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিল না। সবাইকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে আমাদের অনলাইন এডুকেশন সিস্টেমে যেতেই হতো, সেখানে আমরা অনেক আগেই এই সঙ্কটকালীন সময়েই অনলাইন এডুকেশন চালু করতে পেরেছি।