ডেস্ক নিউজ
সচিবালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনসহ প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা কর্নার’ নির্মাণ করা হবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া শেখ হাসিনার নামে দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণসহ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এজন্য ১০১ সদস্যবিশিষ্ট উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস-১ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. খাইরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সচিবালয় শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর হওয়া সত্ত্বেও এখানে জাতির জনকের উল্লেখযোগ্য কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। এ ছাড়া দেশের উন্নয়নে নজিরবিহীন রেকর্ড গড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মরণে রাখার মতো আমরা তেমন কিছুই করতে পারিনি। এজন্য মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণায় বিশেষ ম্যুরাল নির্মাণ করতে চাই। যার উচ্চতা হবে কমপক্ষে ৪০ ফুট। এটি জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যবর্তী কর্নারে সবুজ চত্বর অথবা বাদামতলায় নির্মাণের প্রস্তাব করছি। অপরদিকে শেখ হাসিনা তোরণ ও শেখ হাসিনা কর্নার নির্মাণে সবাই একমত হয়েছেন। সভায় গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
খাইরুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ে তুলতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা যারা সরকারি কর্মচারী আছি তাদেরও প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রায় সক্রিয় সারথি হতে হবে।
তিনি বলেন, দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে শক্ত হাতে দুর্নীতি, মাদক ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অলআউট অভিযান শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ অভিযানকে সফল করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সমিতির সম্পাদক সিনিয়র সহকারী সচিব এফএম তৌহিদুল আলম, সিনিয়র সহকারী সচিব মিজানুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমীন, বদরুল আলম, হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, মইনুল হোসেন, মুশফিকুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস, জমশেদ আলম, রাবেয়া আক্তার, মোশফেক শাহ, কেএম গোলাম আহাদ, আবদুল হালিম, মুজিবর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সভা শেষে মুজিববর্ষ উদযাপনে যুগ্ম সচিব খাইরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট উদযাপন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। সভা থেকে বলা হয়, আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে। বিস্তারিত কর্মসূচি পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সময় প্রাপ্তিসাপেক্ষে মার্চ অথবা অক্টোবরে সবচেয়ে বৃহৎ অনুষ্ঠান করা হবে।