চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল কোঅপারেশন : অ্যাকশন টুডে ফর ফিউচার জেনারেশন’ শীর্ষক হাই-লেভেল ভার্চুয়াল ইভেন্টে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশে^ ডিজিটাল সেবার শক্তি কতটা তা কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল একাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল সেবার শক্তি প্রকাশ করেছে, একই সঙ্গে বিশে^ ডিজিটাল বৈষম্য উন্মোচন করেছে। বিশে^র অর্ধেক মানুষই মৌলিক ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে না। আমাদের অবশ্যই এই বৈষম্য দূর করতে হবে। ডিজিটাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে
অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করা, নারীর ক্ষমতায়সহ সমাজ পরিবর্তন করা আমাদের লক্ষ্য। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করবে।
২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আমাদের তরুণদের দিনবদলের এই যাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে চাই। ডিজিটালাইজেশনে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে চেঞ্জ মেকার হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। শক্তিশালী বৈশি^ক অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, আমরা অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশি^ক অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছি।