ডেস্ক নিউজ
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে সব নাগরিকের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’ ‘ওয়ানগালা উৎসব-২০২১’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল ধরে এদেশের গারো সম্প্রদায়ের মানুষ ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গারো সম্প্রদায় নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে যুগযুগ ধরে সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। তাদের স্বকীয়তা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ভাষা, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য দেশকে সমৃদ্ধ করেছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গারো সম্প্রদায়ের অনেকেই ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মহান মুক্তিযুদ্ধে গারো সম্প্রদায়ের অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’এই আপ্তবাক্য ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে যাচ্ছেন।’’
গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গারো সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের বিষয় বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ‘ওয়ানগালা’ ও ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপিত হচ্ছে। সূত্র: বাসস