অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি জরুরি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের কারণে করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে আজ অনুষ্ঠিত এই অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির চব্বিশতম সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
সভার পর সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, পিপিআর-২০০৮ অনুসারে, বছরে ৫ কোটি টাকার উর্ধ্বে যে কোনও সরকারি ক্রয়ের প্রস্তাব অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু মহামারী প্রতিরোধের জন্য একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে হবে, তাই, এই সভার নীতিমালা অনুযায়ী পিপিআর-২০০৮ এর ৭৬ (২) অনুচ্ছেদের সাথে মিল রেখে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য ডিপিএম পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রস্তাবটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এরআগে, গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের ৩ কোটি (৩০ মিলিয়ন) ডোজ সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, দেশে করোনভাইরাস মানুষের মাঝে যাতে আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মাস্ক পরার ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ প্রাথমিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা বিনা মূল্যে জনগণকে দেওয়া হবে।’
আনোয়ারুল আরও জানান যে, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই) থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ সংগ্রহের সম্মতি দিয়েছেন এবং সরকার এই ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতিমধ্যে ৭৩৫ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।