নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলা নিউজের জামালাপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমকে নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে নাটোরে কর্মরত সকল সাংবাদিক। তারা তীব্র নিন্দা ও এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। আজ শুক্রবার নাটোর প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নাটোরের কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজিত মানববন্ধনকালে নাটোরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাসস প্রতিনিধি ফারাজি রফিক আহমেদ বাবন, দেশ টিভি ও ভোরের কাগজের রনেন রায়, সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধ সমকালের নবীউর রহমান পিপলু, ডিবিসি নিউজের পরিতোষ অধিকারী, যমুনা টিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নাজমুল হাসান, একাত্তর টিভির বুলবুল আহমেদ, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার হালিম খান, বৈশাখী টিভির ইসাহাক আলী, যুগান্তরের শহিদুল হক সরকার, বাংলা নিউজ ২৪.কম এর নাটোর জেলা প্রতিনিধি মামুনুর রশীদ সহ সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ওপর পৈচাশিক হামলা করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক হত্যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তারা বলেন, বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা এমন নির্মম ঘটনা ঘটাতে সাহস পাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে আরও সংকুচিত করবে ও জনগণের বাকস্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে। তারা পরিকল্পিত এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আর এই দাবী আদায়ে সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য গত ১৪ জুন বুধবার পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তিনি মারা যান।