ডেস্ক নিউজ
ঝড়ের সময় ড্রাম ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূন্যরেখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলার নিকট ২৩ জেলেকে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে দুলাল (২৩), জহিরুলের ছেলে রাকিবুল (২২), আ. লতিফের ছেলে ফরহাদ (২৫), আবুল কালামের ছেলে দোলন (৩৫), নীলকমল গ্রামের আলম গাজীর ছেলে রিয়াজ (২৫), আবুল কালামের ছেলে মোস্তফা (৫০) ও আব্বাস (৩৫), আ. মালেকের ছেলে সাদেক (২৮), শহীদের ছেলে আব্দুল আলী (৪০), কাজল বয়াতির ছেলে আলাউদ্দীন (৩৫), শাজাহানের ছেলে শাহ আলম (৪০), আলম গাজীর ছেলে শাহ আলম (৩৫), শাহজাহানের ছেলে মাসুদ (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহ আলম (৩০), খালেক দেওয়ানের ছেলে ইস্রাফীল (২৫), নুরাবাদ গ্রামের তফাজ্জলের ছেলে কামাল (৩২), আব্দুল খালেকের ছেলে হারুন (৩৫), মোসলেম উদ্দীনের ছেলে সুমন (২৫) ও সোহেল (২০), বাবুলের ছেলে ইউছুপ (১৯), লালমোহন উপজেলার গজারিয়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে রকিবুল (৪০), সদর উপজেলার আতাহারের ছেলে আবুল কালাম (৫০) ও চরফ্যাশন উপজেলার জালালের ছেলে বাবুল (৫০)।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া এবং ইঞ্জিনের ত্রুটিজনিত কারণে ফিশিং ট্রলার ‘এফভি জেসমিন’ ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় নৌসীমায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ফিশিং ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এসময় বাংলাদেশি ২৩ জন জেলে মৎস্য আহরণে ব্যবহৃত ড্রাম ও ভাসমান বস্তু আকড়ে ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি বিমান টহল প্রদানকালে জেলেদের অবস্থান দেখতে পায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে একটি লাইফ ল্যাফট (জীবন রক্ষাকারী ভেলা) পানিতে ফেলে দেয়, যা তাদেরকে ভেসে থাকতে সহায়তা করে।
ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ গত ২৫ অক্টোবর জেলেদেরকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের সাথে যোগাযোগ করে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে ২৩ জন জেলেকে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূন্যরেখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা‘র নিকট হস্তান্তর করে। পরে তাদের একটি হাই স্পিডবোর্ডে করে সন্ধ্যায় মোংলা কোস্টগার্ড বার্থে নিয়ে আসা হয়ে। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে।