ডেস্ক নিউজ
কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে অবশেষে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জাতীয় ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন ১৯ জুন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২২ এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস. এম. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুকে নিকটস্থ ইপিআই ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ২৪ লাখের বেশি শিশুকে ১টি করে নীল রঙের, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি প্রায় ১ কোটি ৯৬ লাখের বেশি শিশুকে লাল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে এই ক্যাম্পেইনে।
সারাদেশে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ২ লাখ ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন। একটি শিশুও যাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না যায়, সে জন্য ক্যাম্পেইন শেষে আরো ৪ দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদপড়া শিশুদের খোঁজ করে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকেই শিশুদের রক্ষা করে তা নয়, বরং এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। দেশে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সরকার বছরে ২ বার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে।