নাটোর প্রতিনিধি: করোনার পাশাপাশি বন্যার পর এবারে কাঁচা তরকারীর বাজারে ঊর্ধ্বগতিতে বেকায়দায় পড়েছেন সিংড়ার সাধারণ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দাম ও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো প্রয়োজনীয় কাঁচা তরকারী বাজার থেকে ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
তবে এ পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লোটার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন সাধারণ ভোক্তারা। সিংড়া পৌর শহরের চকসিংড়া মহল্লার মাহমুদুর রহমান জানান, করোনা ও বন্যার রেশ এখনও কাটেনি। আয়-রোজগারের পথ বন্ধ, তবুও অধিক মূল্যে কাঁচা সবজি ক্রয় করতে হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। মুর্শিদা বেগম নামের একজন গৃহিনী জানান, প্রতিটি কাঁচা সবজির মূল্য চড়া। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে অধিক মূল্যে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরেজমিনে সিংড়া কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৫০ টাকা , বেগুন ৬০টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ কেজি, পুঁইশাক ৩০ টাকা, পালং শাক ৭০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০টাকা, পাতা কপি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৭৫টাকা, রসুন ১১০ টাকা, গাঁজর ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা,শিম ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লাউ ও চাল কুমড়া ৪০-৬০ টাকা প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে। সিংড়া উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক এমরান আলী রানা জানান, প্রশাসনিক মনিটরিং তেমন না থাকার সুযোগে ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছেন। এক্ষেত্রে উপজেলার প্রতিটি বাজার ও হাটে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।