নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসানের বদলী চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূর্নীতির অভিযোগে বদলীর আবেদন করেন।এদিকে ঐ কর্মকর্তার বদলী চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিব ও ডিজি বরাবর ডিও লেটার দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি পৃথক পৃথক তিনটি ডিও দেন। তারপত্রে নীতিমালা উপেক্ষা করে অন্যজনকে বদলী, অ:িাবক এবং ঐ মুক্তিযোদ্ধার সাথে খারাপ আচরণ করেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ঐ কর্মকর্তার বদলীর সুপারিশ করেন।উপজেলার চর পাটকোল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমানের আবেদনে জানা যায়, তার কন্যা কামরুন নাহার একজন সহকারী শিক্ষক ও তার একটি প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে। তার নাম আব্দুল বারী রিহান।তার কন্যা কলম গোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সিংড়া সদর হতে দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। সেজন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে সিংড়া সদরে বদলীর আবেদন করেন। কিন্তু শিক্ষা অফিসার তাকে বদলী না করে অর্থের বিনিময়ে অন্যজনকে বদলী করেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে মোট ৭ জনকে বদলী করেন।মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান জানান, তার মেয়ে ২০১৩ সালে কলমগোলা স্কুলে যোগদান করেন। নাতি রিহান একজন প্রতিবন্ধী।বদলীর জন্য বারবার তার শরনাপন্ন হয়েছি এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সুপারিশ জমা দেই।কিন্তু মেয়েকে বদলী করা হয়নি। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।