নাটোরের সিংড়ার আগপাড়া শেরকোল গ্রামের মৃত ইয়াতুল্লাহ মোল্লা ও তার ছেলে আফছার আলী স্বজনদের সাথে নিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে প্রতিবেশী মৃত আজগর আলীর প্রথম স্ত্রী মোছা. নকিরন নেছা ওরফে লকিরন নেছাকে ধর্ষণে সহায়তা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের সমলোচনার মুখে আজগর আলীর স্ত্রী একই গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি, খোদাবক্স মন্ডল ও খলিল মন্ডলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১৯৭৩ইং সালের মার্চ মাসের দিকে আসামীগণ জোর পূর্বক আফছার আলীর বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আসার পর আফছার আলীর বাড়িতেই মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এরপর ১৯৯০সালের ২৮মার্চ দিনের বেলায় আজগর আলীকে তেঁতুল গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁেধ মারপিঠ করে ঘরের ভিতর ঢুকে ঘরের যাবতীয় জিনিসিপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আজগর আলীর বাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী একটি ৫চালা টিনের ঘরও ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন। লুট করা ওই ঘরে এখনো আফছার আলী বসবাস করছেন। ১৯৯৩সালের ২৭সেপ্টেম্বর ঝড়ে আজগর আলীর বাড়ির অপর ঘরটি পড়ে গেলে আফছার আলীর বাড়ির উত্তর দুয়ারী ঘরের পশ্চিম-উত্তর কোণের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালে আফছার আলীর বাড়ির বারান্দায় আজগর আলীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগপাড়া শেরকোল গ্রামবাসীরা।
এবিষয়ে ধর্ষিতার ছেলে বাদী হয়ে মাতা-পিতা খুন ঘর-বাড়ি লুটের জন্য আফছার আলী গংয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন আলীরাজ বলেন,আফছার আলী এলাকার একজন চিহিৃত চরিত্রহীন লোক। তাদের অত্যাচারে ওই গ্রামের অনেক নারীর স্বামীর সংসার ভেঙ্গে গেছে। স্বামীর সংসার হারিয়ে কেউ কেউ মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওই গ্রামে ওদের সামনে মাতা উচু করে কথা বলা ও প্রতিবাদ করার সাহস কারো নাই। আগপাড়া শেরকোল গ্রামের সবাই যেনো বোবা। বাদী আনোয়ার হোসেন আলীরাজ ও তার নিজের জীবনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়েছেন। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্চ (ওসি) নূরে-এ আলম সিদ্দিকী অভিযোগটি আমলে নিয়ে এসআই আব্দুর রহিমকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।