তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সিংড়ায় অবৈধ স্রোতি জাল স্থাপনকারী সন্ত্রাসীরা যদি আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যেভাবেই হোক অবৈধ স্রোতি জাল উচ্ছেদ করে এই সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে বিচার করা হবে। কোন ভাবেই নদীতে স্রোতি জাল দিতে দেওয়া হবেনা। নদী থেকে এই অলবধ স্রোতি জাল উচ্ছেদ করে নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা হবে। উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং অতিবৃষ্টিতে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়াতে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রকৃতি সৃষ্ট কারন ছাড়াও অবৈধ মাছ শিকারে নদীতে আড়াআড়ি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে স্রোতি জাল স্থাপনের কারনে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হয়ে পানির প্রবল চাপে বাঁধ ভেঙে বিল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে বিলের তিন হাজার হেক্টর জমির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। শতাধিক জনবসতি ভাঙনে বিলিন হয়েছে। আরো শতাধিক বাড়ি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতিও বাড়ছে। শত শত পুকুর ভেসে গেছে। পুকুর ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অবৈধ স্রোতি জাল স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে এবং স্রেতি জাল অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এই কার্যক্রমকে আরো বেগবান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ মানুষের দূর্দশা লাঘবে উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম থেকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা জেলার জন্যে অতিরিক্ত ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। বন্যার পানি নেমে গেলে বসতবাড়ি হারানো ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পূনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সবসময় অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এই ধারাবাহিকতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে আছে সরকার। তিনি শনিবার উপজেলার কচুয়াবাড়ী ও বিলদহর এলাকা থেকে দুইটি অবৈধ স্রোতি জাল উচ্ছেদকালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত দুই দিনে ৭৬ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদীর পানি সিংড়ার শোলাকুড়া ও হিয়াতপুর এলাকার বাঁধ ভেঙে চলনবিলের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।