আবু জাফর সিদ্দিকী, সিংড়া থেকে:
আদরের পোষা কুকুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করায় এক সপ্তাহ যাবৎ ভাত-পানি খাওয়া বন্ধ রেখেছেন মনমোহন সরকার নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের সিংড়ার চামারী ইউনিয়নের রৌদি চামারী গ্রামে। মনমোহন সরকার এক বছর যাবৎ তার বাড়ীতে একটি কুকুর লালন পালন করেন। অসম্ভব ভালবাসে নিজের সন্তানের মত আদরে রাখেন কুকুরটিকে। নিজেই গোসল করিয়ে দেয়, নিজেই খাবার খাইয়ে দেয় তাকে। এভাবেই চলছিল মনমোহন সরকারের দিন রাত।
স্থানীয়রা জানায়, গত মঙ্গলবার নীলমনি নামের একজন প্রতিবেশীর ছোট ছেলে মনমোহনের নাতির সাথে খেলা করার সময় তার হাতে পিঠা দেখে কুকুরটি এগিয়ে গেলে মুখে কুকুরের আঘাত লাগে। এ ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে নীলমনি ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুকুরটিকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর কুকুরটি যন্ত্রনায় কাতর হয়ে পড়েছে।
মনমোহনের ছেলে বলে তার বাবা গত এক সপ্তাহ যাবৎ ভাত-পানি কিছুই খাচ্ছে না, শুধু হাউমাউ করে কান্না করছে।কুকুরকে জখমকারী নীলমনি জানান, আমার ছেলেকে আঘাত করায় ক্ষীপ্ত হয়ে তিনি কুকুরকে আঘাত করেছে। পরে তিনি বুঝতে পারেন এটা তার ভূল হয়েছে। একটা অবলা প্রাণীকে এভাবে আঘাত করা তার ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে সামাজিক সংগঠন চলনবিল ফেসবুক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, কুকুরকে এভাবে মেরে খুবই জঘন্যতার প্রমাণ দিয়েছে। এটা মোটেও ঠিক করেনি। কুকুরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল মৃধা জানান, নীলমনি একটা প্রাণীকে মেরে জঘন্য অপরাধ করেছে। দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী এর বিচার হওয়া উচিত।