নাটোরের সিংড়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষক মতিয়ার রহমান মিলনকে মারপিটের অভিযোগে বুধবার রাতে সিংড়ার চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ভোলা ও তার ভাগিনা মাসুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। বুধবারে রাতে গ্রেফতার হলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক রেজাউল করিম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলার দাবী মিলন শিক্ষক নয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার দামকুড়ি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান মিলন ১লা জানুয়ারী কালীগঞ্জ বাজারের স্কুল রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ভোলা লোকজন নিয়ে মিলনের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন মিলনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় রাতেই শিক্ষক মিলন বাদী হয়ে চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলাসহ ৭জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিংড়া থানা পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে জাহেদুল ইসলাম ভোলা এবং তার ভাগিনা মাসুদকে গ্রেফতার করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করেন হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে তাদের হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে দামকুড়ি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতা মতিয়ার রহমান মিলন বলেন, বিদ্যালয় থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোলা সহ একটি চক্র নানা ভাবে তাকে হত্যা ও মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা বলেন, মিলন ওই স্কুলের কেউ না। তারা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে একাধিকবার সালিশী বৈঠক করেছেন। তাকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তারপরেও বিভিন্ন ভাবে ঝামেলা তৈরী করছেন মতিয়ার রহমান মিলন।