ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১০ কোটি মানুষকে প্রথমডোজ টিকাদানের মাইলফলক স্পর্শ করলো বাংলাদেশ। একই সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ মিলিয়ে ১৭ কোটিরও বেশি টিকাদানের রেকর্ড হয়েছে দেশে।
দেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তখন থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত দেশে ১৭ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৭২ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া ১০ কোটি ১৪ লাখ ৭ হাজার ৫৪১টি, দ্বিতীয় ডোজ ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ২৩টি এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০৮ জনকে।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার দেশের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা অর্থাৎ ১১ কোটি ৭০ লাখ জনগোষ্ঠীকে (প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ) টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে টিকাদান কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের টিকার মাইলফলক স্পর্শ করা নিঃসন্দেহে বড় কৃতিত্ব বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারা দেশে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৩ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৯ হাজার ৪২১ জনকে এবং ৮৮ হাজার ২৮১ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে মোট ছয় ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাগুলো হলো অ্যাস্ট্রজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোব্যাক এবং জনসন অ্যান্ড জনসন।