নিউজ ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই নানা কোন্দলে জর্জরিত ছিলো সিলেট বিএনপির রাজনীতি। সে কোন্দল দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। সেই কোন্দলের প্রভাব পড়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে।
জানা গেছে, পূর্ব প্রস্তুতি থাকলেও সিলেট মহাসমাবেশে গ্রুপিংয়ের কারণে কর্মীদের একত্রিত করতে পারেনি নেতারা। ফলে সমাবেশকে ঘিরে কর্মী সংকট দেখা দেয়ায় জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে সমাবেশে কর্মী সমাগম করেছেন সিলেট বিভাগের বিএনপি নেতারা।
সূত্র বলছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরুর দিকে কিছুটা লোক সমাগম কম থাকলেও তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু যারা সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই কর্মী নামের ভাড়া করা লোকজন বলে সন্দেহের জেরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সমাবেশস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা অধিকাংশই সিলেটের কোন অঞ্চলের বিএনপি কর্মী তা বলতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে কথা হয় আবুল ফজল নামের একজন ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি নিজেকের একজন বিএনপির কর্মী হিসেবে দাবি করেন। কার কর্মী হিসেবে তিনি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তা জিজ্ঞাসা করলে সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে বিভিন্ন প্রশ্নে হতবাক হয়ে তিনি বলেন, তাকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে সমাবেশে আনা হয়েছে।
একই ধরণের জিজ্ঞাসাবাদে মঞ্জুর আলম বলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের হয়ে আমি সমাবেশে এসেছি। সমাবেশ শেষে ৫০০ টাকা দেয়ার কথা আছে। কিন্তু যার মাধ্যমে এখানে এসেছি তাদের কাউকেই খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ৫ বন্ধু এখানে এসেছি। আরও ৪ জনও এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সাথে কর্মী ভাড়া করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির এমন বেহাল দশা হয়নি যে ভাড়া করা মানুষ দিয়ে সমাবেশ করতে হবে। কিছু নেতা-কর্মীরা যারা পদ পাননি তারা এমন গুজব রটাচ্ছেন। সমাবেশ সফল হয়েছে, সেটি আমাদের বড় অর্জন। কে কি বললো তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।