সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে চলন্ত বাসে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন ওই বাসের চালক ও চালকের সহকারী। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে বাস থেকে লাফ দেয় ওই ছাত্রী। এতে গুরুতর আহত হয়েছে সে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের দিরাই পৌরসভার সুজানগর এলাকায় শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। তবে চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক রয়েছেন।
ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে তার চাচা বলেন, দিরাই পৌর শহরে তাঁদের বাড়ি। তাঁর ভাতিজি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সিলেটে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশেই তাঁদের বাড়ি। বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ছোট বোন। শনিবার দুপুরে সিলেট থেকে দিরাইগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তাকে তুলে দেন তার বড় বোনের স্বামী। বাসটি যাত্রাপথে পথে বারবার থেমে যাত্রী ওঠানামা করতে করতে আসছিল। একপর্যায়ে বাসটিতে তাঁর ভাতিজি একা হয়ে পড়েন। তখন সুযোগ পেয়ে বাসের সহকারী তার পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। ধস্তাধস্তির এক ফাঁকে তাঁর ভাতিজি বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
পথচারীরা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে পরে পরিবারের লোকজন সেখানে যান। বাসটি পৌঁছানোর আগেই পথচারীরা এ খবর দিরাই বাসস্ট্যান্ডে জানালে সেখানে বাধার মুখে বাস রেখে পালিয়ে যান চালক ও তাঁর সহকারী।
ওই ছাত্রীর মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে রাতেই দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর চাচা রাত সাড়ে আটটায় জানান, তাঁরা সিলেটের পথে আছেন। মাথার আঘাতের কারণে তাঁর আহত ভাতিজি ভীষণ কাতরাচ্ছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন, একা পেয়ে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিলেন। মেয়েটি তখন বাস থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে। পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। বাসের চালক ও তাঁর সহকারীকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।