ডেস্ক নিউজ
চলতি নভেম্বরে শুরা গঠন করার পর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগ দেবেন নতুন আমির শফিকুর রহমান। তবে দলের নতুন সেক্রেটারি জেনারেল কে হবেন- তা নিয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়ন। যা বিভেদের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলছে, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্তত ৫ জন নেতার নাম সেক্রেটারি জেনারেল পদের জন্য আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে কেউ-কেউ নিজের নাম নিজেরাই ‘ডেস্পারেট’ ভাবে প্রচারও করছেন। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন চাঞ্চল্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের প্রভাবশালী একজন নায়েবে আমির বলেন, সংগঠনে নতুন আমির নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সিচুয়েশন খুব ক্রিটিক্যাল’। আর দলীয়ভাবে বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেলের বাইরে কারও কথা বলার সুযোগ নেই। এমনকি কথা বলাও সাংগঠনিকভাবে নিষিদ্ধ। তবে নতুন আমিরকে এ ক্ষেত্রে খুব কৌশলী হতে হবে, নতুবা তা বড় ধরণের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, দলের বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল তিন জন। তারা হলেন, মাওলানা এটিএম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ। এই তিন জনের মধ্যে ডা. শফিকুর রহমান তার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে এটিএম মাছুমকে চান— এমন কথা দলের মধ্যে প্রচার আছে। যা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এটিএম মাছুম। সেক্রেটারি পদে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী অবিভক্ত ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক আমির রফিকুল ইসলাম খান। বর্তমানে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ রাজশাহী জোনের নেতারা চাইছেন তাকে। এর বাইরে নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের নামও আলোচনায় আছে।
জামায়াতের রাজনীতির গভীর একজন পর্যবেক্ষক বলেন, সেক্রেটারি জেনারেল পদে কাকে মনোনীত করা হবে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ঐকমত্য নেই। নতুন আমির শফিকুর রহমানের পক্ষপাত এটিএম মাছুমের দিকে, যার দলের মধ্যে জনপ্রিয়তা নেই। যা জামায়াতের মধ্যে একটি বিভেদপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
সূত্রের দাবি, নির্বাহী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে দু’টি ভাগ আছে। একটি ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে, অন্যটি রফিকুল ইসলাম খানের পক্ষে। খানকে সেক্রেটারি জেনারেল করার পক্ষে রয়েছেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম, বায়তুল মাল বিষয়ক দায়িত্বশীল মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। বিপক্ষ অংশটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম, হামিদুর রহমান আযাদ ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।