ডেস্ক নিউজ
সেনা কল্যাণ সংস্থা তথা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ব্যয় করা যাবে। সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ব্যাংকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা, জেলা প্রশাসক, এনজিও বা এমএফআইর পাশাপাশি এখন সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমেও সিএসআর ব্যয় করা যাবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেনা কল্যাণ সংস্থা সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। করোনার কারণে চলমান লকডাউনে সেনা কল্যাণ সংস্থা দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ত্রাণসামগ্রী সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করছে। বর্তমানে কঠোর লকডাউনের এ সময়ে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ব্যাংক গঠিত বিশেষ সিএসআর তহবিল সেনা কল্যাণ সংস্থা তথা সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ করা হলে তা দ্রুত ও অধিক কার্যকরভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। এমন প্রেক্ষাপটে জেলা প্রশাসক, এনজিও, এমএফআই ও ব্যাংকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমেও বিশেষ সিএসআর করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে সিএসআরের আলাদা হিসাব রাখতে হবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংকগুলোর বিশেষ সিএসআর কার্যক্রমের নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, গত বছরে যে ব্যয় করা হয়েছে, তার নিট মুনাফার ১ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। করোনার কারণে সমস্যায় পড়া দরিদ্রদের খাদ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ এবং কর্মহীন মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য এ অর্থ বিতরণ করতে বলা হয়। শুরুতে ব্যয়ের অর্ধেক সিটি করপোরেশন এলাকা, বাকি অর্ধেক এর বাইরে করার নির্দেশনা ছিল। পরবর্তী সময়ে অপর এক নির্দেশনার মাধ্যমে বেশি করোনাভাইরাস-প্রবণ এলাকা রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ব্যয়ের অর্ধেক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুরু থেকেই পুরো বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবিকে।