ডেস্ক নিউজ
সমুদ্রের প্রবাল ও গোলাপি ডলফিনসহ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য বাঁচাতে এবার ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ঘোষণাটি করা হয়েছে আসলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের আওতায়। বৈশ্বিকভাবে সমুদ্রের প্রবাল, গোলাপি ডলফিন, হাঙর, রে মাছ, সামুদ্রিক কাছিম, সামুদ্রিক পাখি ও সামুদ্রিক ঘাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদের আবাসস্থল সংরক্ষণ করা এখন কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ টেকসই করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অমনোযোগী দেশি পর্যটকরা ভ্রমণে এসে এসব জীববৈচিত্র্যের দিকে খেয়াল করে না।
অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, যারা সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ওপর নির্ভরশীল তাদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। তবে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ যাতে রক্ষা হতে পারে সে বিষয়টি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। যে কারণে সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার জুড়ে সেন্টমার্টিন প্রটেক্টেড এরিয়া। যার গভীরতা ৭০ মিটার পর্যন্ত। উত্তরে বঙ্গোপসাগর থেকে টেকনাফ পেনিনসুলা পর্যন্ত। আর দক্ষিণে অথৈ বঙ্গোপসাগর। পূর্বে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক জলসীমা। আবার পশ্চিমে চোখ যতদূর যায় অথৈ পানি আর পানি। অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর।
একে কেন প্রটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করা হলো- সে প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার ব্লু ইকোনমি নিয়ে কাজ করছে অনেকদিন ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় সমুদ্রের সম্পদ এখন অর্থনীতির একটি বড় অংশ। বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি সরকারের একটি অগ্রাধিকার বিষয়। সমুদ্রের তলদেশে আমাদের অনেক সম্পদ রয়েছে।
তবে আমাদের অনেকের এখনও অজানা রয়ে গেছে। এসব সম্পদ যদি খুঁজে পাওয়া যায় তা হলে আমাদের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি অনেকটা পাল্টে যাবে। দেশের অর্থনীতি অনেক সমৃদ্ধ হবে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্লু ইকোনমি বিরাট অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন।