নিউজ ডেস্ক:
গ্রামীণ এলাকায় সৌর বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নতুন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ জন্য সংস্থাটির সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়েছে সরকারের। চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা) ঋণ ও অনুদান পাবে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে যুক্ত আছে স্ট্র্যাটেজিক ক্লাইমেট ফান্ডও।
বৃহস্পতিবার (২৯অগাস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ওই চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের এই অর্থায়নের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলগুলোর (সিআইএফস) কৌশলগত জলবায়ু তহবিলের (এসসিএফ) দুই কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার ঋণ ও ২৮ লাখ ৭ হাজার ডলার অনুদানও রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর। এর মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে ৫ বছর, শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ এর সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে, এসসিএফ ঋণের মেয়াদ ৪০ বছর। এর গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর, সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ।
চুক্তি সইয়ের পর মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া প্রকল্পটি প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণের কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করবে, যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশের নির্ধারিত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ সময় ড্যানড্যান চেন বলেন, এক দশক ধরে বিশ্বব্যাংক নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎপ্রাপ্তি বাড়াতে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কর্মসূচি, যা দেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষকে সেবা দিচ্ছে। আমরা এখন বাংলাদেশকে বৃহৎ পরিসরে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন কার্যক্রমের সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য সহায়তা করতে যাচ্ছি।