নিউজ ডেস্ক :
স্থায়ী কমিটির পাঁচটি শূন্যপদ পূরণে বিএনপিতে তোড়জোড় চলছে। শূন্য পাঁচটি পদের মধ্যে এরইমধ্যে যথাক্রমে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমানকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই দুই নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ পাওয়ার পরে পদের জন্য যোগ্য নেতাদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়। এই ইস্যুতে অনেক নেতাই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন।
একই ইস্যু আবারও নতুন করে সামনে এসেছে। স্থায়ী কমিটির আরও তিনটি পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও তদবিরের প্রস্তুতি। এমনকি কমিটিতে পদ না পেলে অনেক নেতাই পদত্যাগের সিদ্ধান্তেও মনস্থির করে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এ অবস্থার মধ্যে তিনটি খালি পদে আলোচনায় আছেন অন্তত ছয়জন ভাইস চেয়ারম্যান। যারা দলটির স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন বলে অপেক্ষায় ছিলেন।
গত কাউন্সিলের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বেশি মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন বলে সেসময় ব্যাপক আলোচনা ওঠে। তাকে স্থায়ী কমিটিতে স্থান না দেওয়ার পর তিনি দলে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তাই এবার খালি তিনটি পদে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে নিয়ে আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন তার অনুসারী নেতারা।
অন্যদিকে এবার স্থায়ী কমিটিতে না আসতে পারলে দল থেকে পদত্যাগের চিন্তা করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। গত বুধবার তিনি একটি নিউজ এজেন্সির কাছে এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন।
স্থায়ী কমিটিতে যুক্ত হওয়া নতুন দুই সদস্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় শাহজাহান ওমর বলেন, আমার দ্বারা হয়তো আর এ দল করা সম্ভব হবে না। এসব বিষয়ে কথা বলা আমার জন্য বিব্রতকর। আমি কিছু বলতে চাই না। আরো আগেই আমার স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এবারো হলো না।
এ দু’জনের বাইরে অন্য যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন— শাহ মোয়াজ্জেম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন, বরকত উল্লাহ বুলু, ড্যাব নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
স্থায়ী কমিটির পদ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার বয়স হয়েছে, জানি না শেষ পর্যন্ত আমি রাজনীতিতে থাকতে পারবো কিনা। যদি স্থায়ী কমিটির পদে রাখা হয় তবে বিষয়টি বিবেচনা করবো।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, যারা স্থায়ী কমিটির সদস্য পদের জন্য সম্ভাব্য তালিকায় আছেন, তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আশায় আছেন। যদি তাদের আশায় ছেদ পড়ে তবে অনেক নেতাই পদত্যাগ করবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত।