দেশের সর্ববৃহৎ মেগাপ্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রতি সপ্তাহে পিলারের ওপর বসছে একটি করে স্প্যান। আজ ১ এবং ২ নম্বর পিলালের ওপর ৩৮ নম্বর স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতু স্পর্শ করবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার মাটি। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৬০০ মিটার।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬শ’ টন ধারণক্ষমতার তিয়ান-ই ভাসমান ক্রেনটি দিয়ে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের নিকট রওনা হবে। ১ এবং ২ নম্বর পিলারটি মাওয়া প্রান্তে ভ‚মিতে থাকায় পিলারের পার্শ্ববর্তী স্থানের মাটি কেটে ক্রেনটি সামনে নেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, দুর্নীতির অভিযোগ আর বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ প্রদান থেকে সরে যাওয়াসহ কোন প্রতিবন্ধকতা বাধা হতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলে সেতু নির্মানের কাজ। চলতি বছর করোনা, পদ্মার তীব্র স্রোত এবং ভাঙন আবার নির্মাণ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেতু নির্মাতা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এবং সেতু কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মান কাজ এগিয়ে চলে। স্প্যান বসানোর কাজ চার মাস বন্ধের পর গত অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে একটি বসানো হচ্ছে।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর বসবে ৩৯ নম্বর স্প্যান আর ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে মাঝ নদীতে ৪০ এবং ৪১ নম্বর স্প্যান বসানো হলে পুরো পদ্মা সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত আর যাতায়াতের দুর্ভোগের অবসান হবে।