বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিও বার্তামেউ পদত্যাগ করেছেন। তার সঙ্গে বার্সার সকল বোর্ড পরিচালকও দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এক বৈঠক শেষে তারা পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেন। প্রভাবশালী স্প্যানিশ ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম গোল ও মার্কা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কয়েক মাস ধরেই বার্সা প্রেসিডেন্ট সমালোচনার তীর হজম করে আসছেন। বার্সার বাজে পারফরম্যান্স। লিগ শিরোপা হারানো। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া। মেসির ক্লাব ছাড়তে চাওয়া। আবার মেসিকে জোর করে বার্সায় আটকে রাখার জন্য সমালোচিত হন বার্তামেউ।
তাকে পদত্যাগ করতে বলে আন্দোলনও হয়। তার বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু মার্চের বোর্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বার্তামেউ দায়িত্ব ছাড়বেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন। অবশ্য আগামী সপ্তাহেই হওয়ার কথা ছিল সেই অনাস্থা ভোট। তার আগেই হুট করে মঙ্গলবার রাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন বার্তামেউ ও তার বোর্ড মেম্বাররা।বার্সার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেন বার্তামেউ। জোয়ান লাপোর্তার সময় তিনি বার্সার বোর্ডে যুক্ত হন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন সান্দ্রো রুসেলের জায়গায়। তার সময়ে বার্সা চারটি লা লিগা জিতেছে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। শেষ মৌসুমে তার অধীনে বার্সা কিছুই জেতেনি। সেটাই কাল হয়েছে তার জন্য।
এর আগে বার্সা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে ২০ হাজার ৬৮৭ ভোট সংগ্রহ করা হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাই হওয়ার কথা ছিল অনাস্থা ভোট। কিন্তু বার্সার বোর্ড ওই ভোট বাতিল চেয়ে কাতালান সরকারের কাছে অনুরোধ করে। করোনা সংকটের কারণে ভোট না করার জন্য বললেও তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অনাস্থা ভোটে হারের শঙ্কা কিংবা অনাস্থা ভোটের অসম্মানের কথা ভেবেই হয়তো বার্তামেউ পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।