ডেস্ক নিউজ
পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়নের কার্যক্রম অবশেষে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ, সেতুর স্থান সমীক্ষা ও দরপত্র আহ্বানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সেতুটি হয়ে গেলে মির্জাগঞ্জের সঙ্গে জেলা শহরের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেতু বিভাগের সচিব ও সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আবু বকর ছিদ্দীক গত বুধবার বিকেলে পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ এলাকায় পায়রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন কচুয়া-বেতাগীর সেতু এলাকাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ, সেতু বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ইতোমধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। ১ হাজার ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের এ সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা।
শীর্ষেন্দু বিশ্বাস ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠি লেখে। শীর্ষেন্দু তখন পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। বর্তমানে সে ব্যবসায় শিক্ষায় নবম শ্রেণিতে পড়ছে। তাদের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ছয়আনি গ্রামে। বাবা-মায়ের চাকরির সুবাদে সে পটুয়াখালী শহরে বসবাস করে।
গ্রামের বাড়ি থেকে পটুয়াখালী শহরে আসতে জেলার মির্জাগঞ্জের খরস্রোতা পায়রা নদী পার হতে হয়। এ নদীতে অধিকাংশ সময় প্রচণ্ড ঢেউ থাকে। তাতে মানুষ ভয় পায়। তাই নদীটির ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠি লেখে শীর্ষেন্দু। প্রধানমন্ত্রী চিঠিটির জবাব দেন ২০ সেপ্টেম্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শীর্ষেন্দুর হাতে তুলে দেয়। চিঠিতে মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে শীর্ষেন্দুকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতুর প্রাথমিক নকশা মতে বিআইডব্লিউটিএ’র শ্রেণি বিন্যাস অনুযায়ী এই রুটটি প্রথম শ্রেণির হওয়ায় নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে উচ্চতা ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৩ মিটার। মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৬৯০ মিটার। এর মধ্যে মাঝের ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯টি স্প্যান এবং উভয়প্রান্তে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি স্প্যান ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি স্প্যান থাকবে।