- ২০২৪ সালের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মিলবে এই মর্যাদা
- ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের স্বীকৃতি ২০৩৪ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সুযোগ সুবিধা চাওয়া হবে
এম শাহজাহান ॥ করোনা মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্দিষ্ট সময়েই ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে দেশকে নিম্ন থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ সভায় বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিতে সুপারিশ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। তবে করোনায় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এলডিসি হিসেবে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত সুযোগ-সুবিধা চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
করোনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার মধ্যেও এখনও ভাল অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। সরকারের নানা উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অর্থনৈতিক মন্দায় খুব একটা সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন, রেমিটেন্স বৃদ্ধি, রফতানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, শিল্পের উৎপাদন সচল রাখা, কর্মসংস্থান এবং বড় বড় প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়ন অব্যাহত থাকায় অর্থনীতির স্পর্শকাতর সূচকগুলো শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আর এ কারণেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসার সুযোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশের তার্লিকা থেকে বের হয়ে আসার পর অর্থনীতিতে বেশ কিছু ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে দাতাদের কঠিন শর্তের মুখে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভাবমূর্তি উন্নয়নের ফলে বেশি পরিমাণে বৈদেশিক ঋণ পাওয়া সুবিধাজনক হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থ বিশেষজ্ঞরা। বহির্বিশ্বে জাতি হিসেবে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও উৎসাহী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক দেশের সঙ্গে নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
জাতিসংঘের হিসেবে বিশ্বে তিন ধরনের দেশ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-উন্নত, উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত বা এলডিসি। জাতিসংঘ হিসেবটি করে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা বা সঙ্কট সূচক অনুযায়ী। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশসহ ৪৭টি দেশ এলডিসি হিসেবে রয়েছে। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। এই মূল্যায়ন করে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে অন্তত ছয় বছর লাগে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালে চূড়ান্ত সুপারিশ পেলে নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিলবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি।
কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে এলডিসি উত্তরণ ॥ করোনা মহামারী মোকাবেলা করে এলডিসি উত্তরণ করবে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনার কারণে এলডিসি উত্তরণের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা হয়নি। বরং এলডিসি হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা বহাল ছিল তা আগামী ১০ বছর বৃদ্ধি করে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত দাবি করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়ে বাংলাদেশ তাদের অবস্থান তুলে ধরছে।। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সুযোগ-সুবিধা পাবে। তবে এজন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে আপীল করার নিয়ম রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছে গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান টেনওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়েও এলডিসি উত্তরণে নানা সুবিধা হারানোর কথা বলেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এ প্রসঙ্গে জিইডির সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম সম্প্রতি এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও নির্দিষ্ট সময় ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি বেশ ভালভাবে সামাল দেয়া গেছে। করোনার কারণে প্রথম তিন-চার মাস দেশের প্রায় সব কিছুই বন্ধ ছিল। সমস্যাটি ছিল বিশ্বব্যাপী। পরে গত জুলাই থেকে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু হয়েছে। এখন ভালভাবেই চলছে। বলা চলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রভাবও কমে আসছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে এই সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে এলডিসি উত্তরণের ঝুঁকিগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
এলডিসি দেশ হিসেবে আরও ১০ বছর সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা বলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রফতানিকারকরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন। এলডিসি উত্তরণের পরও পরবর্তী ৮-১০ বছর বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুবিধাগুলো বহাল রাখতে কাজ করার জন্য বাণিজ্য সচিব সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে অনুরোধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, নির্দিষ্ট সময় ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তবে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা আরও ১০ বছর বাড়ানোর কথা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আশা করছি, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রাখবে। তবে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এলডিসি উত্তরণে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তা মোকাবেলায় অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং পরিকল্পনা দরকার। এদিকে, গত বছরের আগস্টে যখন করোনা মহামারীর কোন প্রকোপ ছিল না তখন সানেমের এক সেমিনারে এলডিসি উত্তরণের ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তখন বলা হয়েছিল স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলে মূলত দুই চ্যালেঞ্জে পড়বে বাংলাদেশ। এগুলো হচ্ছে, বাণিজ্য সুবিধা হ্রাস এবং ঋণের ক্ষেত্রে কঠোর শর্ত পূরণের বাধ্যবাধকতা।
এলডিসি উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেগোশিয়েশনের জন্য বাংলাদেশের দক্ষ কূটনৈতিক কার্যক্রম প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আর অন্য দেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের মাঝে গুণগত পার্থক্য রয়েছে। কেননা এদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে (কোভিড-১৯) অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে দুই বছর মেয়াদী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ সময় তিনি সুনির্দিষ্টভাবে আটটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কমপক্ষে তিন বছরের জন্য এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়কাল বিলম্বিত করা উচিত।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ইমপ্যাক্ট এ্যাসেসমেন্ট এ্যান্ড কপিং আপ স্ট্র্যাটেজিস অব গ্র্যাজুয়েশন বাই ২০২৪’ শীর্ষক জিইডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলডিসি উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় গর্বের বিষয়। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধা কমে যাবে। যেমন-এলডিসি উত্তরণের পর ২০২৭ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে ৪০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশ সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করছে। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি রফতানি হয়ে থাকে। এছাড়া ইইউর পাশাপাশি বাংলাদেশ কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও অনেক দেশে রফতানির ক্ষেত্রে এই সুবিধা ভোগ করছে। কিন্তু ২০২৪ সালে এলডিসি উত্তরণ ঘটলে ২০২৭ সালের মধ্যে মোট ৭০০ কোটি ডলারের রফতানি আয় হারাতে পারে দেশ। যেটি ২০৩১ সালে এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল কোভিড-১৯ মহামারীর আগেই।
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় জিইডি বলেছে, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে অতীত সাফল্য আশাবাদী করে তুলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও উচ্চ আয় পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার পথে মধ্য আয়-ফাঁদে (এমআইটি) আটকে পড়ার আশঙ্কা সম্পর্কে নীতি প্রণেতাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সূত্র জানায়, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুপারিশ করবে কোন কোন দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেয়া যায়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এই তিন সূচকের দুইটিতে আগের তিন বছরে ধারাবাহিকতা থাকলেই কোন এলডিসিকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
তবে এবার ওই তিন সূচকের বাইরে করোনার প্রভাবও মূল্যায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে ওই তিন সূচকের পাশাপাশি করোনার প্রভাব মূল্যায়নে এলডিসিগুলোর ওপর একটি সমন্বিত সমীক্ষা করা হচ্ছে। সিডিপি মনে করে, করোনার কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এসব দেশের স্বাস্থ্যসেবা বেশ দুর্বল। তাই তারা করোনা রুখতে হিমশিম খাচ্ছে। করোনার মতো আঘাত মোকাবেলা করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতায় বেশ দুর্বলতা আছে।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি ॥ করোনা মোকাবেলা করে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা যথাসময়েই জাতিসংঘের কাছে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে দেশের অবস্থান তুলে ধরবে। আগামী বছরের ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের মানদ- পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘের সিডিপি। সরকার চাইছে, সেখানে দেশের অবস্থান আরও শক্তভাবে তুলে ধরতে। এছাড়া আগামী বছরের মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তিপর্বে দেশের মানুষকে এ ধরনের একটি সংবাদ দিতে চাইছে সরকার, যে কোভিড-১৯ দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক খাতে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও সেটি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে বড় ধরনের সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে আগের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের সামনে উন্নয়ন সূচকগুলো তুলে ধরবে। জানা গেছে, প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়বারেও যাতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালভাবে জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরা যায়, সে লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের পর্যালোচনা সভায় অংশগ্রহণের আগ পর্যন্ত এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গৃহীত রোডম্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রতি মাসে সভা করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। একইসঙ্গে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়গুলো কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কিত প্রতিবেদন টাস্কফোর্সের সভায় উপস্থাপন করবে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) প্রফেসর শামসুল আলম আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। জাতিসংঘের দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভায় আমরা দেশের অবস্থান আরও শক্তভাবে তুলে ধরব। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।