অনলাইন ক্লাসের জন্য স্বল্প মূল্যে ইন্টারনেট পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা । অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাড়তি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কিনতে হবে না। তারা স্বল্প মূল্যে টেলিটকের ইন্টারনেট পাচ্ছেন, যা ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করতে পারবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য নামমাত্র মূল্যে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ দেবে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পরিচালিত বিডিরেন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাবেন। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানায় ইউজিসি।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটরটির নেটওয়ার্ক নিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও টেলিটক কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিশেষ সেবা দেবেন তারা। এর আগে গত বুধবার একশ’ টাকায় সারামাসজুড়ে ইন্টারনেট শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়া হবে বলে জানায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ৪২টি পাবলিক ও ৬৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিডিরেন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। ছাত্রছাত্রীরা জুম অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের টেলিটকের নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে হবে।মোস্তাফা জব্বার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, একেবারেই বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে একশ’ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এই টাকা তারা নিবন্ধন, ভয়েস কল, এসএমএস কিংবা অন্য সময় ইন্টারনেটে খরচ করতে পারবেন। শিক্ষার জন্য যে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন, সেজন্য এক পয়সাও খরচ করতে হবে না।
ইউজিসি তাদের প্রকল্প বিডিরেনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দিতে মোবাইল অপারেটরগুলোকে চিঠি দিয়েছিল।বিডিরেনের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে টেলিটক গত ২৮ আগস্ট একটি সম্মতিপত্র দিয়েছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিডিরেন থেকে যে কনটেন্ট, ক্লাস হবে সেই ডাটা ফ্রি। এক পয়সাও খরচ হবে না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার এ উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।’ নামমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ দেওয়ার উদ্যোগে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে স্বল্প খরচে ডিজিটাল ডিভাইসের এক্সেস এবং ইন্টারনেট সুবিধা পেতে পারে এ বিষয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।