ডেস্ক নিউজ
দেশের চলমান যেকোন বিষয়ে দলীয় অবস্থান ব্যক্ত করে প্রেসব্রিফিং করলেও বহুল আলোচিত রাজধানীসহ গুলশানের হলি আর্টিজান হত্যা মামলার রায় নিয়ে কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানায়নি বিএনপি। এমনকি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তর সম্পাদক রিজভী আহমেদও জননন্দিত রায় নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে জানা গেছে, অতীতের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে মদদদানের অভিযোগ থেকে গা বাঁচাতে বিএনপি এই মামলার রায় নিয়ে কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করেছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিগত ২০০১ সালের জোট সরকারের আমলে দেশব্যাপী জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের জন্য দেশ ও বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বিএনপি। জেএমবিসহ অন্যান্য জঙ্গিদের তৎকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াত সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। এমনকি তৎকালীন মার্কিন দূতাবাসও গোপন তারবার্তায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানানো হয়। বিশেষ করে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় জেএমবি, বাংলা ভাই, আব্দুর রহমানের মতো উগ্রবাদী, সন্ত্রাসীদের উত্থানের বিষয়টিও স্পষ্ট হয় মার্কিন দূতাবাসের এই গোপন তারবার্তায়। এছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সভায় গ্রেনেড হামলার জন্য তারেক রহমানকে দায়ী মনে করেন দেশ ও বিদেশের মানুষরা। যার কারণে জঙ্গি, সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত মামলায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ নীরব থাকার কৌশল অবলম্বন করেন। কারণ জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের যেকোন ইস্যু সামনে আসলেই বিএনপি-জামায়াতের নাম চলে আসে। এসবের কারণে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে বিএনপিকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে নেতাদের নীরব থাকতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে লন্ডন থেকে।
এদিকে জানা গেছে, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার রায়ে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে গণমাধ্যম। বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাই এই ইস্যুতে কথা বলতে রাজি হননি। দেশ ও বিদেশে এই মামলার রায় নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা গেলেও বিএনপি শিবিরে দেখা গেছে নীরবতা, যা দেশবাসীর মনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক ঘটাচ্ছে।
একটি গোপন সূত্র বলছে, লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলবেন না বিএনপি নেতারা।