ডেস্ক নিউজ
বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির ত্যাগ করা নেতাদের তালিকায় যুক্ত হলো আরেক নাম। হাইকমান্ডের ওপরে ক্ষোভ থেকে বিএনপি ছাড়লেন এম মোরশেদ খান। তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লোক মারফত পদত্যাগপত্র পাঠান এম মোরশেদ খান। দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাঁদগাঁও) আসনের মনোনয়ন এবং সেখানকার দলীয় কমিটি গঠন নিয়ে মোরশেদ খান বিরক্ত ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। সেখানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। স্থানীয় কমিটি গঠনে সুফিয়ানের অনুসারীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসব নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মোরশেদ খানের দূরত্ব তৈরি হয়। যা নিয়ে হাইকমান্ডের নিশ্চুপ অবস্থানের প্রেক্ষিতে তিনি ক্ষোভ ও হতাশা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পদত্যাগপত্রে মোরশেদ খান সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। তিনি পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোরশেদ খান বলেন, সারা দেশে একের পর এক নেতারা বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করলে মোটা দাগে যেসব কারণ পাওয়া যাবে সেগুলোর নিগূঢ় বিশ্লেষণই পদত্যাগের কারণ। তবে পদত্যাগের প্রতিক্রিয়া বা কারণ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করার ইচ্ছা রাখি না। ফলে আপাতত এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে একটা কথা বলতে পারি- বিএনপি সুষ্ঠু রাজনীতিতে না ফিরলে নেতাদের পদত্যাগ বাড়তেই থাকবে।