ডেস্ক নিউজ
দেশের হাওরাঞ্চলে আগাম শস্য চাষের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। এসব ফসল যেন এপ্রিলের ১০-১২ তারিখের দিকেই কেটে ফেলা যায়। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এই বিষয়টি ওঠে আসে। সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিং-এ এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদে সচিব খন্দকার আনোরুল ইসলাম।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি বা বন্যার পানির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে দেশের সব হাওরসহ নিচু অঞ্চলসমূহে সাধারণ সড়কের পরিবর্তে (এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে) উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাওর এলাকায় কোনো রকমের সাধারণ রাস্তাঘাট এখন থেকে আর করা যাবে না। হাওরে সড়ক হলে সেটি এলিভেটেড (উড়াল) হতে হবে। যেন বৃষ্টি বা বন্যার পানি চলাচলে বাধা না আসে। সুনির্দিষ্টভাবে এটা দেখতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি একনেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। সুনামগঞ্জের সেই প্রকল্পেও উড়াল সড়ক হচ্ছে। শুধু হাওর না, নিচু এলাকায় কোনো সড়ক হলে সেগুলো অবশ্যই উড়াল সড়ক করতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদে সচিব বলেন, ‘বৈঠকে হাওর পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, মৎস্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং পরিকল্পনামন্ত্রী কথা বলেছেন। হাওরাঞ্চলে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরুতেই এক হাজার ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাঁধের ওপর থেকে পানি চলে এসেছে। এতে সেখানে ২ লাখ ৭০৯ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে হাওর ভালো অবস্থায় থাকবে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরে সাধারণত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মোটামুটি সব ধানই কাটা হয়ে যায়। এখানে এপ্রিলের শেষ অথবা মে মাসের প্রথমেই পানি চলে আসে। কিন্তু এ বছর হঠাৎ এপ্রিলের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সিলেটের পানিটা মূলত নামে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা হয়ে। এখানে যে রাস্তাটা করা হয়েছে মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পরিকল্পনামন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, হাওর বা নিচু এলাকায় যেসব বাঁধ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাযথ মানের হয়েছে কীনা? তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।’