পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনলাইনে পশু বিক্রি অনেক বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে অনলাইনে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮টি পশু বেচাকেনা হয়েছে। যার মূল্যমান ১ হাজার ৬৬৫ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ৬৭২ টাকা। গত ২ থেকে ১৫ জুলাই সময়ের হিসাব তুলে ধরে শুক্রবার এসব তথ্য জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য বর্তমানে অনলাইনের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে ৬০২টি আর বেসরকারি উদ্যোগে ১ হাজার ১৬৬টি। এসব অনলাইন বাজারে ১৪ দিনে ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯২টি কোরবানিযোগ্য পশুর তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
অনলাইনে পশু বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫টি পশু বিক্রি হয়েছে, যার বাজারদর ৮৯৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৮ টাকা। পরের স্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৮৫১টি পশু বিক্রি হয়েছে ২৬১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৭ টাকায়।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দেবাশীষ দাশ বলেন, গত বছর প্রথম অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছিল। ওই বছর অনলাইনে ৮৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত অনলাইনে যে পরিমাণ কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে, তার থেকে বেশি প্রত্যাশা ছিল। তবে গত বছরের থেকে এ বছর ভালো করেছি। স্থায়ী পশুর হাটে ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুহাট চালু রাখার সুপারিশ করেছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়।
দেবাশীষ দাশ আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুলাই পশু হাট বসা শুরু হয়েছে। হয়তো এখন অনলাইনে পশু বিক্রির প্রবণতা কিছুটা কমে যাবে। তারপরও যারা হাটে যেতে চান না, তাদের জন্য অনলাইন অবারিত হয়ে থাকল বলে উল্লেখ করেন তিনি।