দীর্ঘ ১৮ বছর স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে নাটোরের বড়াইগ্রামের আ’লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আয়নাল হক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদন্ড ও বাঁকীদের খালাস দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান সিদ্দিক এই রায় ঘোষনা করেন। এ সময় দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম চলা অবস্থায় ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।
আদালত ও মামলা সুত্রে জানান যায়, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে বিএনপি জামায়াত জোটের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আয়নাল হককে জখম করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পুত্রবধু নাজমা রহমান বাদী হয়ে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
দীর্ঘ ১৮ বছর ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আজ সোমবার আদালতের বিচারক অভিযুক্ত তোরাব আলী ও শামীম হোসেন নামে দুই জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন এবং বাঁকী অভিযুক্তদের খালাস প্রদান করেন। এ বিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, তারা ন্যায় বিচার পাইনি। তারা দন্ডপ্রাপ্ত দুই জনের জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, তারা আদালতের কাছে তথ্য প্রমান প্রদান করে আশা করেছিলেন অভিযুক্ত সকলেই শাস্তি পাবে। কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছে তা তারা মেনে নিয়েছেন।