নিউজ ডেস্ক:
কাউকেই আর বিশ্বাস করতে পারছে না বিএনপি। বিগত সময়ে ২০ দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় নতুন কৌশল অবলম্বন করছে দলটি।
২৪ জুন সোমবার জোটের বৈঠকে প্রবেশের আগে শরিক দলের নেতাদের মোবাইল জমা দিতে হয়। এমন প্রেক্ষাপটে শরিকদের প্রতি বিএনপির আস্থাহীনতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে বলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে শরিকদের মধ্যে ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়েছে। তারা বলছেন, সমস্যা বিএনপির নিজেদের মধ্যে, আর অনাস্থা প্রকাশ করছে শরিকদের উপরে। এটা শরিক দলের নেতাদের জন্য চরম অপমান।
রাত পৌনে আটটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রবেশের আগে নেতাদের তল্লাশি করে মোবাইল নিয়ে নেয়া হয়।
বিএনপির এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষোভ ও হতাশ জোটের নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ২০ দলীয় জোটের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। জোটের শরিক দলের দুইজন চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বলেন, বৈঠকের আগে মোবাইল জমা নেয়া এটা নেতাদের জন্য চরম অপমানজনক। পাশাপাশি বিএনপি শরিক দলের নেতাদের বিশ্বাস করে না সেটাই প্রমাণ হয়।
তারা বলেন, বিএনপি যদি শরিকদের বিশ্বাস না করে, আস্থাই না রাখতে পারে তাহলে কর্মসূচি সফল করবে কিভাবে এটা বড় একটা প্রশ্ন।
জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সেলিম বলেন, বৈঠকের আগে নেতাদের মোবাইল জমা নেয়ার বিষয়টি স্বভাবতই আস্থাহীনতার ব্যাপার। বিষয়টি জোটের নেতাদের জন্য অপমানজনকও বটে।
২০ দলীয় জোটের শরিক এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোটে সমস্যা নেই। সমস্যা বিএনপিতে। আমরা মেনে নিলাম জোটের নেতাদের বিশ্বাস করছে না বিএনপি। কিন্তু তথ্য কোথায় থেকে ফাঁস হয় তা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে খেয়াল করলেই বুঝবেন। একের পর এক তথ্য ফাঁস করে বিএনপি নেতারা নিজেরাই সমালোচিত। নিজেদের আড়াল করতে জোটের নেতাদের প্রতি অনাস্থা আনছেন তারা। শরিকদের নয়, তথ্য ফাঁস হচ্ছে বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে। আমরা প্রমাণসহ এই সত্য দেখিয়ে দেব। এখন এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সময় হলে এর জবাব দেব।