ডেস্ক নিউজ
দেশের ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ২০১৮ সাল থেকে এই সুযোগ তিন বছরের জন্য করা হয়েছিল। এবার আরও ৫ বছরের জন্য এটি নবায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন হয়েছে। এটি আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়টির পক্ষে সচিব খাজা মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষে সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সমঝোতা অনুযায়ী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে দেশের ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পাবেন। চিকিৎসাসেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- চিকিৎসা পরামর্শ, বিভিন্ন টেস্ট, ওষুধ, বেড, পথ্য এবং নার্সিং সেবা।
চলতি বছরে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের নীতিমালায় সংশোধনী এনেছে। এতে সরকারি হাটবাজারগুলোর ইজারালব্ধ আয়ের চার শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালায় বলা হয়, মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ, মেডিকেল কলেজ ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা মূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে।
যে ২২ বিশেষায়িত হাসপাতালে এই চিকিৎসাসেবা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন-ঢাকা এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতাল।